শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। একটি দেশের যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশিক্ষায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একজন মহান শিক্ষকই যথেষ্ট।কিন্তু বিধির কি বিধান? সেই শিক্ষক যদি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে সবাইকে কাঁদিয়ে নীরবে অকালে চলে যায় সেটা গোটা শিক্ষা পরিবারেই স্তব্দ ও বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।শিক্ষকতার মহান ব্রত নিয়েই বহু শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত করে নীরবে চলে গেলেন চান্দিনা উপজেলার সবার প্রিয় শিক্ষক ইউসুফ আলী খান (৫২)। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান তিনি। উপজেলা মহিচাইল ইউনিয়নের বামুটিয়া গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে নিহত ইউসুফ আলী খান মহিচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ বছর প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, জ্বর-সর্দি, কাশিসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে গত ৭-৮ দিন ধরে ভুগছিলেন ইউছুফ আলী।বুধবার রাতে তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইউসুফ আলীর সৎকার নিয়ে সংকট দেখা দিলে খবর পেয়ে বরাবরের মত দ্রুত ছুটে আসেন কুমিল্লা উত্তর জেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মো. লিটন সরকার।তার নেতৃত্বে ৮ জনের একটি তরুণ টিম মরহুমের দাফন কার্য সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে লিটন সরকার জানান, শুধু চান্দিনা বা দেবিদ্বার নয় দেশের যে কোন জায়গায় করোনা আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে নিহত কারো দাফন বা সৎকার কাজে সমস্যা হলে আমাদেরকে জানালে আমরা ওই কাজ সম্পন্ন করতে প্রস্তুত আছি। দলমত বর্ণ ধর্ম নির্বিশেষে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা আমরা মানুষের অন্তিম কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে সহকর্মী ও তার চাচাতো ভাই বামুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন- তার এ অকালে চলে যাওয়াটা চান্দিনার শিক্ষা পরিবারে এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।যথেষ্ট পরিশ্রমী ও উদ্যোমী ছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বে মহিচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উপজেলায় শ্রেষ্ঠত্ব ফলাফল অর্জনে সহায়ক ছিল।
এ দিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে চান্দিনায় নতুন করে ৪ জন সনাক্ত হয়েছে।চান্দিনায় মোট শনাক্ত ২০২ জন।নতুন ২ জন সুস্থসহ মোট সুস্থ ১৫০ জন।